মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫
No menu items!
Homeজাতীয়২৫ ক্যাডারের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি রবিবার

২৫ ক্যাডারের পূর্ণদিবস কর্মবিরতি রবিবার

মোরনিউজ ডেস্ক
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লেখালেখির কারণে ২৫ ক্যাডারের ১২ জন কর্মকর্তাকে দেওয়া বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে রোববার (২ মার্চ) পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

আজ শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান।

মফিজুর রহমান বলেন, ‘২৫ ক্যাডার রোববার সারাদেশে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবে। জরুরি সেবা ছাড়া সব সেবা বন্ধ থাকবে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান না পেলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। আশা করছি সংশ্লিষ্টরা সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেবেন।’ সেদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কর্মকর্তারা নিজ নিজ দপ্তরের সামনে কালো ব্যাজ পরে ব্যানারসহ অবস্থান করবেন বলেও সভায় জানানো হয়।

এসব দাবি আদায়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অর্ধদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল ২৫ ক্যাডার। কিন্তু সেদিন জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের কর্মসূচি থাকায় অর্ধদিবস কর্মবিরতি স্থগিত করা হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ ও বিভাগীয় মামলা প্রত্যাহার করা না হলে এবং আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের কার্যকর উদ্যোগ দৃশ্যমান না হলে রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জানিয়েছিল ২৫ ক্যাডার।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে ২৫টি ক্যাডারের পক্ষ থেকেই পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং উপসচিব পদে কোটা বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সমাজের বিভিন্ন স্তর হতেও সিভিল সার্ভিসে পেশাদারিত্বকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য আহ্বান করা হয়েছে। অথচ জনদাবি উপেক্ষা করে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে ক্ষমতাধর একটি গোষ্ঠীর নিরঙ্কুশ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধির প্রয়াস লক্ষ্য করা গেছে।
মফিজুর রহমান আরও বলেন, এ রিপোর্ট পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে রাষ্ট্র সংস্কারের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে এবং প্রশাসনিক ফ্যাসিজম আরও শক্তিশালী হবে। সভায় বলা হয়, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে ক্যাডার বহির্ভূত করার প্রস্তাব থেকে সরে এসে সুকৌশলে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ভিন্নতা রাখা হয়েছে। যেন ধীরে ধীরে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে মূলধারা থেকে বের করা যায়। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনা ক্যাডারের বিষয় সংস্কার প্রস্তাবে না রাখা এবং পরিসংখ্যান ক্যাডারকে অযৌক্তিকভাবে সার্ভিসের বহির্ভূত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এর ফলে এসব সেক্টরে মেধাবীরা কম আকৃষ্ট হবে এবং এসব সেক্টরসমূহ মেধাশূন্য হয়ে পড়বে। কোনো ব্যক্তির মেধা যাচাইয়ের অন্যতম মাপকাঠি হচ্ছে গাণিতিক দক্ষতা। অথচ গণিতকে বাদ দিয়ে অন্যান্য বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে মুখস্থ করার প্রবণতা উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে যা যথাযথভাবে মেধা মূল্যায়নের অন্তরায়। এছাড়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ও জেলা পরিষদকে বিলুপ্ত করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি, বাস্তবতা বিবর্জিত প্রাদেশিক শাসন ব্যবস্থার প্রস্তাব জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অন্তরায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments